আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে চলছে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন ও প্রস্তুতির কাজ। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ভোটগ্রহণের উপযোগী কিনা তা যাচাই-বাছাই চলছে।
তবে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও রয়েছে তীব্র লোকবল সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্যক্রম। অফিস সূত্র জানায়, এখানে ১৭টি পদে মোট ৩০২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫৭ জন। ফলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বিদ্যমান জনবলকে।
পদ অনুযায়ী ঘাটতির চিত্র আরও স্পষ্ট—৫ জন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারের বিপরীতে একজনও নেই, ৫ জন নির্বাচন অফিসারের বিপরীতে রয়েছেন ৩ জন। উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার ৫৬টি পদের বিপরীতে আছেন ৩৭ জন, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ৫৬ জনের বিপরীতে ২৫ জন। এছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৩ জনের বিপরীতে আছেন ১ জন, উচ্চমান সহকারী ৬ জনের বিপরীতে ৩ জন, হিসাব সহকারী ৫ জনের বিপরীতে ৪ জন, স্টোর কিপার ৫ জনের বিপরীতে ৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৬৭ জনের বিপরীতে ২২ জন, গাড়ি চালক ৩ জনের বিপরীতে ২ জন, অফিস সহায়ক ৭১ জনের বিপরীতে ৪৩ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ৫ জনের বিপরীতে ১ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৬ জনের বিপরীতে ৫ জন এবং দপ্তরি পদের বিপরীতে কেউ নেই।
আগামী নির্বাচনের আগে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে লোকবল কম থাকায় উপজেলা পর্যায়ে সেবাপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী। চিঠিতে তিনি ১৪৫টি শূন্যপদ পূরণের অনুরোধ জানান।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকবল সংকট আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে হওয়ায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জানানো হয়েছে। বর্তমানে যে জনবল আছে, তা দিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনকালে সংকট থাকলে চ্যালেঞ্জ বাড়বে-এটা স্বাভাবিক। আশা করি, সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে।’